স্টাফ রিপোর্টার
পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে ঐতিহ্যবাহী ‘বৈসুক’ উৎসবকে ঘিরে জমকালো আয়োজন করেছে ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশন। ১৪৩৫ ত্রিপুরাব্দ (১৪৩২ বঙ্গাব্দ), ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এই উৎসব ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক অপূর্ব সমাবেশ হয়ে ওঠে।
উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ‘তৈ-মাতাইলো খুম বনাই’— অর্থাৎ মা গঙ্গাকে ফুল নিবেদন। এছাড়া ‘গজ্জারকন’ অনুষ্ঠানে বয়োজ্যেষ্ঠদের স্নান করিয়ে বস্ত্র প্রদান করা হয়, যা ছিল অত্যন্ত আবেগঘন ও শ্রদ্ধাপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা নারীদের পরিবেশনায় ঐতিহ্যবাহী ‘পান্দো’ (সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান), ‘আওয়াল’ (পিঠা), এবং ‘মুইডালজাক’ (পাঁচন) পরিবেশন করা হয়। উৎসবের শেষ পর্বে ছিল নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী খেলা এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ এবং রাঙামাটি জেলা পরিষদে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি গর্জনতলী ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশন সভাপতি বিদ্যুৎ শংকর ত্রিপুরা।
ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এবং ত্রিপুরা স্টুডেন্টস্ ফোরাম বাংলাদেশ, রাঙামাটি জেলা ও অন্যান্য শাখার সার্বিক সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
এই উৎসবটি পার্বত্য অঞ্চলের জাতিগোষ্ঠীগুলোর সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার এক মহতী প্রয়াস হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
Leave a Reply