চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনায় খাগড়াছড়িতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী চালাচ্ছে বিশেষ উদ্ধার অভিযান। এরই অংশ হিসেবে সোমবার (২১ এপ্রিল ২০২৫) ভোরে জেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের পূর্ণকারবারি পাড়ায় ইউপিডিএফ (মূল) এর একটি গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে ইউপিডিএফ (মূল) এর ব্যবহৃত পিস্তলের গুলি, তিন জোড়া পোশাক, ১৯টি ইউনিফর্মের প্যান্ট, একটি ল্যাপটপ, ওয়াকি-টকি সেট, দুটি মোবাইল ফোন, মাইক্রোফোন, ক্যামেরা, প্রিন্টার, সেলাই মেশিন, তাবু, নেট, লোহার চেইন, খাবারের উপকরণ এবং চাঁদা আদায়ের রশিদ উদ্ধার করা হয়।
অভিযানের সময় পাশ্ববর্তী এলাকা থেকে সাতজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হলেও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযানের সময় ইউপিডিএফ সদস্যরা সেনাবাহিনীর উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এটি ইউপিডিএফ (মূল) এর খাগড়াছড়ি সমন্বয়ক অংগ্যা মারমার অস্থায়ী আস্তানা ছিল। তালাবদ্ধ ঘরটি সন্দেহজনক মনে হলে স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে তল্লাশি চালায় সেনাবাহিনী।
অভিযানের অংশ হিসেবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান। তিনি জানান, অপহৃতদের উদ্ধারে প্রয়োজনে প্রতি ইঞ্চি জমি তল্লাশি করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে পাঁচ শিক্ষার্থী অপহৃত হন। ইউপিডিএফকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা হলেও সংগঠনটি তা অস্বীকার করে আসছে। এদিকে পাহাড়ে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
Leave a Reply