1. cbarta2025@gmail.com : C Barta : C Barta
  2. editor@cbarta.com : Reporter : Reporter
সাংগ্রাইয়ের রঙে রাঙা রাঙামাটি, বৈসাবির পর্দা নামলো উৎসবমুখর পরিবেশে - C Barta
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ইয়েন ইয়েনের দেশবিরোধী প্ল্যাকার্ডে পিসিসিপি’র বিক্ষোভ সমাবেশ; পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ টেকনাফে মোবাইল চুরির অপবাদে গণপিটুনিতে যুবক নিহত খাগড়াছড়ি রামগড় উপজেলায় দেশীয় অস্ত্র এলজি ও এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছর : শান্তি এখনো অধরা সাংগ্রাইয়ের রঙে রাঙা রাঙামাটি, বৈসাবির পর্দা নামলো উৎসবমুখর পরিবেশে খাগড়াছড়িতে চবি শিক্ষার্থী অপহরণ, উদ্ধার হয়নি এখনো বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেনের অভাবে শিশুর মৃত্যু বৈসুক উৎসবে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যের প্রাণবন্ত উদযাপন রাঙামাটিতে রাঙামাটিতে ইসলামী যুব আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল;গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার দাবিতে স্লোগান রাঙামাটিতে বলী খেলা: বৈসাবির উৎসবে ঐতিহ্যের দীপ্তি

সাংগ্রাইয়ের রঙে রাঙা রাঙামাটি, বৈসাবির পর্দা নামলো উৎসবমুখর পরিবেশে

  • প্রকাশিত : শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে

মো. সোহরাওয়ার্দী সাব্বি

রাঙামাটি পাহাড়ি অঞ্চলের সবচেয়ে বড় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসব বৈসাবির শেষ অধ্যায়টি অনুষ্ঠিত হলো মারমাদের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসবের মধ্য দিয়ে। পুরাতন বছরের বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর এই আনন্দঘন আয়োজনে শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাঙামাটি জেলা যেন পরিণত হয়েছিল এক টুকরো রঙিন মিলনমেলায়।

সকাল থেকে পাহাড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ জমায়েত হন রাঙামাটি মারি স্টেডিয়ামে। বেলা ১২টায় উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের  উপদেষ্টা সু-প্রদীপ চাকমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের  চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল কান্তি তালুকদার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহসহ স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা।

সাংগ্রাইয়ের মূল আকর্ষণ ছিল ঐতিহ্যবাহী জলকেলি—যেখানে তরুণ-তরুণীরা কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে একে অপরের ওপর পানি ছিটিয়ে পুরাতন গ্লানি ধুয়ে নতুন বছরের নতুন সূচনার বার্তা ছড়িয়ে দেন। প্রাণবন্ত এই জলকেলি দৃশ্য শুধু অংশগ্রহণকারীদের নয়, দর্শনার্থীদের মাঝেও ছড়িয়ে দেয় আনন্দের ঢেউ।

এর পাশাপাশি ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। মারমা তরুণ-তরুণীরা নিজস্ব সংস্কৃতির গান ও নৃত্যের মাধ্যমে তুলে ধরেন পাহাড়ি জীবনের রঙ ও বৈচিত্র্য। ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে শিল্পীরা নাচে-গানে মাতিয়ে রাখেন পুরো স্টেডিয়াম।

যদিও শনিবারের আনুষ্ঠানিক আয়োজনের মাধ্যমে বৈসাবির মূল কর্মসূচি শেষ হয়েছে, তবে উৎসবের আমেজ এখনই শেষ হচ্ছে না। পাহাড়ের বিভিন্ন গ্রামে পক্ষকালব্যাপী চলবে উৎসবের নানা আয়োজন।

বৈসাবি শুধু একটি উৎসব নয়, এটি পাহাড়ি জাতিসত্তাগুলোর ঐক্য, সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয়ের বহিঃপ্রকাশ। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে তারা আবারও প্রমাণ করলেন—বৈচিত্র্যই এই পার্বত্য জনপদের সবচেয়ে বড় শক্তি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © C Barta
Theme Customized By BreakingNews